প্রার্থী মনোনয়নে জয় পরাজয় আওয়ামী লীগ-বিএনপির

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সংসদীয় আসন ২৪০। হাওর-বাঁওড়, কৃষি আর মৎস্য সম্পদে ভরপুর হবিগঞ্জ-২ আসন। দেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জকে নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জ দুই আসনটি আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই পরিচিত। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অধ্যুষিত বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জে বিগত কয়েকটি নির্বাচনেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হয়ে আসছে।

তবে এবার ওই ঘাঁটিতে হানা দিতে আঁটঘাট বেঁধে নেমেছে দীর্ঘদিন ধরে সংসদের বাইরে থাকা বিএনপি। এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের অর্ধডজনেরও বেশি মনোনয়নপ্রত্যাশীর সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপির দুই ও জাতীয় পার্টির এক প্রার্থী। আসনটিতে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীরা এবার মাঠে কাজ করছেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের পাশাপাশি মনোনয়নের জন্য জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত সৌদি আরব বিএনপির সভাপতি। ছাড় দিতে নারাজ জাতীয় পার্টির একমাত্র প্রার্থী হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ঘনিষ্ঠজন জেলা সদস্য সচিব শংকর পাল। এ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আমীর হোসেন মাস্টার এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান দৃশ্যত একসঙ্গে থাকলেও নানা কারণে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ চলে আসছে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব। এতে তাদের মধ্যে দূরত্বও বাড়তে থাকে। তাদের এই দূরত্বের ফলে বিগত উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের খেসারত দিতে হয়। বানিয়াচং উপজেলা সদরের চারটির মধ্যে তিনটিই হাতছাড়া হয়ে যায় আওয়ামী লীগের। এর মধ্যে ২টিতে বিএনপি ও একটিতে জামায়াত জয়লাভ করে। যার ফলে উপজেলা সদরে স্থানীয়ভাবে শক্তিশালী হয়ে পড়ে বিএনপি ও জামায়াত। উপজেলা সদর ছাড়াও বর্তমান এমপি অ্যাড. আবদুল মজিদ খানের নিজ ইউনিয়নেও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) জয়লাভ করেন। পাশাপাশি এমপির অতি ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক তজম্মুল হক চৌধুরীর ইউনিয়নেও বিএনপির প্রার্থী নির্বাচিত হন। একইসঙ্গে প্রার্থী মনোনয়নে ভুল সিদ্ধান্তের ফলে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটিতেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হন। যার ফলে ওই উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে এখনো বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ। তারাও দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে আছেন।

এ অবস্থায় পাওয়া না পাওয়া, প্রাপ্তি আর বঞ্চিতের তুষানলে জ্বলছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনগুলো। ওই দুই উপজেলায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী, সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী ও মৎস্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে বর্তমান এমপির রয়েছে সীমাহীন দূরত্ব। ওই দূরত্বের ফলে বিএনপিসহ সরকারবিরোধীরা একাট্টা হয়ে নির্দ্বিধায় কাজ করে যাচ্ছে। তবে স্থানীয় এমপি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ওই দূরত্ব কমিয়ে এনে নেতাকর্মীদের মনে ঠাঁই করে নেয়ার।

স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দূরত্বের পাশাপাশি সম্প্রতি একটি সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি করেন সরকারদলীয় ওই এমপি। এ ঘটনার ফলে আবারো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন বর্তমান এমপি অ্যাড. আবদুল মজিদ খান। তার পক্ষে দায়ের করা ৫৭ ধারার মামলায় কারাভোগ করেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা রফিক। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে এমপিসহ বর্তমান সরকারের সঙ্গে স্থানীয় সাংবাদিকদের নতুন করে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আপস নিষ্পত্তি হলেও অভ্যন্তরে এখনো বিরাজ করছে সাংবাদিকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ। তবে তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সাংবাদিকদের সঙ্গে সৃষ্টি হওয়া ক্ষোভ প্রশমনের।

আসনটিতে বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে অদ্যবধি হাল ছাড়েননি তিনি। ত্রাণ বিতরণ থেকে শুরু করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিটি দুয়ারে তিনি গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করার সুবাদে তার আগামীতে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বিএনপির নেতাকর্মীরাও এমনটাই আশা করেছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল ও বর্তমান এমপি আবদুল মজিদ খানের একক আধিপত্যের ফলে অনেকটা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় আগামী নির্বাচনে আসনটি হারাতে পারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলে মনে করেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীরা আসনটি ধরে রাখার জন্য বিকল্প প্রার্থীরও সন্ধান করছেন। সততা, দক্ষ ও স্বচ্ছ এমন কোনো ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে আসনটি আওয়ামী লীগেরই রয়ে যাবে বলে ধারণা তৃণমূলের। প্রার্থী পরিবর্তন না হলে হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলেও মনে করেন নেতাকর্মীরা। বর্তমান এমপি অ্যাড. আবদুল মজিদ খানের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি, দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব ও সরকারবিরোধীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগও তুলেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলীয় অনেক নেতাকর্মী।

এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন বর্তমান এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান। একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে সভা সমাবেশের মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এ ছাড়া এলাকায় অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মাস্টারের নাম জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে নেতাকর্মীদের মুখে।

তবে এ আসনে তৃণমূল আওয়ামী লীগসহ সাধারণ মানুষের মাঝে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান সরকারের সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত মো. ইকবাল খান চৌধুরী। তিনি সরকারে বিভিন্ন দফতরে দায়িত্ব পালনকালে জেলাসহ বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ দুই উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান, মন্দির, শ্মশান, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট উন্নয়নে ভূমিকা রেখে এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। সাধারণ মানুষেরও ধারণা এ আসনে তাকে মনোনয়ন দিলে আসনটিতে আওয়ামী লীগ জয়ী হবে। তবে তিনি রাজনীতিতে আসছেন তার ব্যক্তিগত বা পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো এমন কোনো ঘোষণা পাওয়া যায়নি। কিন্তু ইতিমধ্যে হবিগঞ্জ-২ আসন বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ উপজেলাসহ জেলাজুড়ে চাউড় হয়ে আছে আগামী নির্বাচনে এ আসন থেকে সাবেক সচিক মো. ইকবাল খান চৌধুরীকে মনোনয়ন দিতে পারেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ ছাড়া এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা ড. মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজের নামও রয়েছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তিনি যুক্তরাজ্য থেকেও রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচনী প্রচারণার জন্য বছরের অধিকাংশ সময়ই তিনি ব্যয় করেন বাংলাদেশে। বিগত সরকারের আমল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার আশায় এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে তৃণমূলে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। দুই উপজেলায় তার পক্ষে রয়েছে দলীয় নেতাকর্মীসহ নিজস্ব একটি বলয়। তবে বর্তমান এমপির একক কর্তৃত্বের ফলে ড. মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজের অনুসারীরা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারছেন না।

এ আসনে সাবেক বানিয়াচং উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন খান, শিল্পপতি আমজাদ হোসেন ফনিক্স, সাবেক এমপি প্রয়াত শরিফ উদ্দিন আমদের পুত্র মিনহাজ উদ্দিন শরিফ রাসেল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির শিশু ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহফুজা বেগম সাঈদা, ব্যারিস্টার এনামুল হক, অ্যাডভোকেট আবু বকর চৌধুরী ও জেলা কৃষক লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির রেজাও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন অনেকটাই নিশ্চিত বলে জানান বিএনপির নেতাকর্মীরা। তিনি এলাকায় নিয়মিত সভা-সমাবেশ করে প্রচারণা অব্যাহত রাখছেন। নেতাকর্মীসহ মানুষের কাছেও তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও সৌদি আরব বিএনপির সভাপতি তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত আহমেদ আলী মুকিব আবদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় জাসাস নেতা মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর ও সাইফুল ফারুকীর নামও শোনা যাচ্ছে নেতাকর্মীদের মাঝে। তবে এ আসনে ডা. জীবনের পাশাপাশি আহমেদ আলী মুকিব আব্দুল্লাহর নামটিই আলোচনায় রয়েছে সর্বত্র। আহমেদ আলী মুকিব আব্দুল্লাহর রয়েছে নিজস্ব একটি বলয়। তিনি সৌদি আরব বিএনপির কর্ণধার হিসেবে পরিচিতির পাশাপাশি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন। তিনি ইতিমধ্যেই দুই উপজেলায় তার অনুসারী অনেক নেতাকর্মী তৈরি করেছেন। তার অনুসারীরা মাঠ পর্যায়েও কাজ করে যাচ্ছেন।

এ আসনে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য সচিব শংকর পাল। সাধারণ জনগণের কাছে তিনিও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন ব্যাপক। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক আফছার আহমেদ রূপকের নামও শোনা যাচ্ছে। কোনো দল থেকে নির্বাচন না করে এবারো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচন করছেন তিনিÑ এমনটাই জানালেন তার কর্মী সমর্থকরা। বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিযোগিতা করেছিলেন এই গণমাধ্যমকর্মী। ফলে তারও রয়েছে এলাকায় যথেষ্ট পরিচিতি। তিনি আগামীতেও নির্বাচন করবেন এমনটাই শোনা যাচ্ছে তার ঘনিষ্ঠজনদের মুখে।

এ ছাড়া ১৪ দলীয় জোটের শরিক দল জাসদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, ২০ দলীয় শরিক দল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুল বাছিত আজাদের নাম শোনা যাচ্ছে। এ অবস্থায় আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে কে পাচ্ছেন মনোনয়ন এ প্রশ্ন এখন চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে হাটবাজার সর্বত্র।

উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোপাল কৃষ্ণ মহারত এমপি হন। এরপর ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের মেজর জেনারেল এমএ রব, ১৯৭৯ সালে বিএনপির অ্যাডভোকেট জনাব আলী, ১৯৮৬ ও ৮৮ সালে জাতীয় পার্টি থেকে সিরাজুল হোসেন খান নির্বাচিত হন। ১৯৯১ ও ’৯৬-র নির্বাচনে টানা দু’বার এমপি হন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ তৎকালীন সভাপতি মরহুম অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন আহমেদ। তার মৃত্যুর পর ১৯৯৭ সালের উপনির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৎকালীন সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে এমপি হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী শিল্পপতি নাজমুল হাসান জাহেদ। সর্বশেষ ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান নির্বাচিত হন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর